স্বদেশ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, উভয়পক্ষের খারাপ সম্পর্কের কারণে ইসরাইলের সঙ্গে সব চুক্তি বাস্তবায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত জুলাই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে তুর্কিভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে। রামাল্লায় ফিলিস্তিনি সংগ্রাম সংস্থার (পিএলও) সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের পক্ষে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আব্বাস আরও বলেন, সম্প্রতি ইসরাইলি সরকার পশ্চিম জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বসতি ধ্বংস করে অধিগ্রহণ করেছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের ওপর এভাবে চাপাচাপির পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলি শক্তি প্রয়োগের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আব্বাস।
গত ২২ জুলাই ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমতীরে সীমান্তের কাছে অবস্থিত বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করে। তাদের দাবি, এসব স্থাপনা সীমান্ত রেখার একদম কাছে অবৈভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ সময় তারা শতাধিক পুলিশ ও সেনা নিয়ে সুরবাহার গ্রামে বুলডোজার দিয়ে ১৭ ফিলিস্তিনির ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এটি পশ্চিমতীরের জমি দখলের জন্য ইসরাইলের একটি প্রচেষ্টা। ইসরাইলের হাইকোর্ট বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সীমানা বেড়ার পাশে নো-বিল্ড জোনের মধ্যে ঘরগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসরাইল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরাইল দাবি করছে, এসব বাড়িঘর অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। গত ২৫ বছর ধরে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে যেসব চুক্তি হয়েছে তাতে নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ নানা ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার বিষয় ছিল। পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার পর ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন বলছে, ইসরাইলের এ ধরনের আচরণ ঠিক নয়।